অ' দেশে অনেকগুলো তেলের বৃহৎ খনি আবিষ্কৃত হওয়ায়
বিদেশি তেল উত্তোলনকারী কিছু কোম্পানি ঐ দেশের সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তেল উত্তোলন শুরু করে। এ কার্যক্রমে সরকারি তেল উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানও যুক্ত হয়। এসব কাজে দেশি-বিদেশি প্রচুর লোক নিয়োজিত হওয়ায় মানুষের আয় বৃদ্ধি পায়। আবার ভবিষ্যৎ চিন্তা থেকে মানুষের সঞ্চয়ের আগ্রহও বৃদ্ধি পায়। দেশে ব্যাংক-বিমাসহ নানা রকম আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিকশিত হয়। কিন্তু তেল ছাড়া অন্যান্য উৎপাদন ক্ষেত্র সেভাবে বিকশিত না হওয়ায় ব্যাংকে অলস টাকা জমার পরিমাণ বাড়তে থাকে। অথচ জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় দেশীয় কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা হলে এমনটি হতো না।
উদ্দীপকে উল্লিখিত 'অ' দেশে মূলধন গঠনে যে ইতিবাচক ও নেতিবাচক ক্ষেত্রগুলো পরিলক্ষিত হয়েছে, সেগুলো নিচে চিহ্নিত করা হলো।
মূলধন গঠন বলতে মূলত অধিক পরিমাণে মূলধনীসামগ্রী উৎপাদন ও মূলধন বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকেই বোঝায়। যেমন মানুষ তার অর্জিত আয়ের কিছু অংশ ভোগের জন্য ব্যয় না করে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে আর এই সঞ্চিত অর্থ বিনিয়োগে রূপান্তরিত হলেই মূলধন গঠিত হয়। তাই, যে দেশের সঞ্চয় গঠনের হার বেশি, সে দেশের মূলধন গঠনের হারও বেশি হয়।
উদ্দীপকে লক্ষ করা যায়, 'অ' দেশটিতে অনেকগুলো তেলের খনি আবিষ্কৃত হওয়ায় সরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগের দ্বারা মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই আয় বৃদ্ধির ফলে মানুষের সঞ্চয়ের আগ্রহও বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে দেশটিতে ব্যাংক-বিমাসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিকশিত হয়েছে। যা মূলধন গঠনের ইতিবাচক দিক। কিন্তু, তেল ছাড়া অন্যান্য উৎপাদন ক্ষেত্র বিকশিত না হওয়ায় ব্যাংকে তারল্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সঞ্চিত অর্থ বিনিয়োগে রূপান্তরিত হচ্ছে না তথা মূলধন গঠন ব্যাহত হচ্ছে।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?